কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, তিলকরত্নে দিলশান, থিসারা পেরেরা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, লাসিথ মালিঙ্গা, রঙ্গনা হেরাথ, অজন্তা মেন্ডিস, নুয়ান কুলাসেকারা- এই নামগুলোর সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। তবে এই লেখার শুরুতে এদের নাম লিখার দুটি তাৎপর্য আছে। প্রথমতঃ এরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপাজয়ী দলে ছিলেন, এবং দ্বিতীয়তঃ এরা কেউ ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে নেই। হ্যাঁ, মাহেলা জয়াবর্ধনে আছেন। তবে খেলোয়াড় নয়, ‘মেন্টর’ হিসেবে।
এবং জয়াবর্ধনে যাদের ‘মেন্টর’ হিসেবে এসেছেন, সেই দাসুন শানাকা, কুশাল পেরেরা, পাথুম নিসাঙ্কা, চারিথ আসালাঙ্কা, আভিশকা ফার্নান্দো, চারিথ আসালাঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের সাথে উপরে উল্লেখিত ঐ দলটির অভিজ্ঞতা বা কীর্তির দিক দিয়ে কোন তুলনাই চলে না। এই তারুণ্য ও অনভিজ্ঞতার জের টেনে শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে এটিও বলাই বাহুল্য; যার কারণে ক্রিকেটীয় মর্যাদার দিক দিয়ে শীর্ষসারির এবং ঐতিহ্যবাহী এই দলটিকে খেলতে হচ্ছে বিশ্বকাপের ‘প্রথম পর্বে’ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস আয়ারল্যান্ডদের সাথে।
বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কদের ভার্চুয়াল মিডিয়া ইন্টারঅ্যাকশনে শনিবার এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা; তিনিও অকপটেই স্বীকার করে নিলেন এই সত্যগুলো। তরুণ অনভিজ্ঞ একটি দল নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এসব মেনে নিয়ে চুপ করে বসে থাকতেও রাজি নন শানাকা। তারুণ্যের শক্তিকে সঙ্গী করেই শুধু বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব নয়, মূল পর্বেও ভালোকিছু করার প্রত্যয় জানিয়ে গেলেন লঙ্কানদের নতুন প্রজন্মের অধিনায়ক, যে কাজে তাঁর বড় ভরসা ড্রেসিংরুমে জয়াবর্ধনের ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কের উপস্থিতিও।
“২০১৪ তে যে দলটি বিশ্বকাপ জিতেছিল তাতে অনেক বড় বড় নাম উপস্থিত ছিলেন; তারা কেউই এখন দলে নেই। সেই তুলনায় অনেক তরুণ একটি দল নিয়েই আমরা বিশ্বকাপে এসেছি। মূল পার্থক্যটা অবশ্যই অভিজ্ঞতার। তবে আমাদের এই নতুন দলটিরও সামর্থ্য আছে কিছু করে দেখানোর”- জানিয়েছেন শানাকা
মাহেলা জয়াবর্ধনেকে ‘বেস্ট ইন দ্যা বিজনেস’ আখ্যা দিয়ে শানাকা জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা এই সাবেক ব্যাটসম্যান ‘ট্যাকটিকাল সেন্স’ কাজে লাগানোর অনেক সুফল পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
“আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কৌশলগত দিক দিয়ে মেন্টর হিসেবে মাহেলার চেয়ে এইমুহুর্তে সেরা কেউ নেই। তাঁর সাথে ড্রেসিংরুমে থেকে অনেককিছু শিখিছি। প্রতি পদে পদে তিনি আমাদের পথ দেখাচ্ছেন।”
প্রথম পর্বে খেলা নিয়েও কোন বাড়তি চাপ নেই দলের মধ্যে, এও জানিয়েছেন শানাকা।
“দল হিসেবে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স দিতে পারিনি বলেই আমরা প্রথম পর্বে খেলছি। কিন্তু তা নিয়ে আমাদের মনে কোন বাড়তি চাপ নেই। আমাদের দলটা শক্তিশালী। কিছু খেলোয়াড়ের এবারের আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আভিশকা ফার্নান্দোর মতো ব্যাটসম্যান রয়েছে আমাদের। লাহিরু, চামিরাদের মতো পেসার রয়েছে যারা শুধু প্রথম পর্ব পার করতেই সাহায্য করবে না, মূল পর্বেও ভালো করতে ভূমিকা রাখবে।”
১৮ অক্টোবর গ্রুপ এ তে নামিবিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা।