এক হাত নেই। এই দুর্বলতাকেই শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন ভারতের পালক কোহলি। অধ্যবসায় আর চেষ্টায় হয়ে উঠেছেন দক্ষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়ার। অংশ নিচ্ছেন প্যারা অলিম্পিকে। মাত্র ১৮ বছরের তরুণী পালক। তিনিই ভারতের একমাত্র ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় যিনি টোকিও প্যারা অলিম্পকে তিনটা ক্যাটাগরিতে খেলার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
জন্ম থেকেই পালকের একটি হাত অপূর্ণাঙ্গ ও দূর্বল। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি উপেক্ষা করেই নিজেকে খেলোয়ার হিসেবে তৈরি করেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে পালক জানিয়েছেন, তার অক্ষমতাই তাকে বদলে দিয়েছে।
“আমার অক্ষমতাকেই আমি দুরুণ ক্ষমতায় বদলে নিয়েছি। সারা বিশ্ব বলবে এটা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনাকে বলতে হবে ‘এটা সম্ভব’ এবং দেখিয়ে দিতে হবে” – বলেন পালক
শুরুতে ভালবেসেই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেছিলেন পালক। ভাবেননি এটাই পেশা হিসেবে নিবেন। ২০১৭ সালে পালক একজন কোচের কাছে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন। দুই বছর পরেই একটি আন্তর্জাতিক একটি পুরস্কার পান তিনি।
Presenting our para badminton contingent for the @Paralympics ???
This is the first instance of badminton being introduced at the Paralympic Games. #bluerising #tokyo2020 #paralympics #cheer4India pic.twitter.com/H0L0TYjRa6— Indian Sports Honours (@sportshonours) August 18, 2021
“একদম শূন্যের থেকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ছয়ে স্থান করে নেয়া, এবং প্যারা অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হওয়া এটা একটা বড় সংগ্রাম। যখন কারও সাথে প্রথম বার দেখা হয়, প্রথমেই জিঞ্জেস করেন হাতে কি হয়েছিল। আমি বলি ‘জন্ম থেকেই’। এমনকি যখন ছোট ছিলাম ‘জন্ম থেকেই’ এই কথার অর্থই বুঝতাম না। তবে জানতাম আমাতে এটাই বলতে হবে”
ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে অনেক বার আহত হয়েছেন তিনি। তবে এক সময় এটাই তার থেরিপি হিসেবে কাজ করতে থাকে। পালক কুহেলির সাফল্য আজ শুধু তার পরিবার না, গর্ব এনে দিয়েছে গোটা ভারতের জন্যই।