হারলেই নিশ্চিত বিদায়; জিতলেও অনিশ্চিত পরের রাউন্ড। এমন কঠিন সমীকরণ নিয়েই স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে মাঠে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৩ রান। সর্বোচ্চ ৬৪ রান এসেছে মোহাম্মদ নাইমের ব্যাট থেকে। সাকিব আল করেছেন ৪২ রান। ৩০ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন ফায়াজ বাট।
২১ রানেই নেই ২ উইকেট। সেখান থেকে ৮০ রানের জুটি মোহাম্মদ নাইম-সাকিব আল হাসানের। অর্ধশতকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন দুজনই; কিন্তু ব্যক্তিগত ৪২ রানে পয়েন্টে দাড়ানো ইলিয়াসের ডিরেক্ট থ্রোতে রানআউট হয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব ফিরলেও বাংলাদেশের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন টাইগার ওপেনার নাইম।
ধীর গতিতে শুরু করলেও নাইমের ব্যাটেই লড়াই করার মতো অবস্থানে পৌছেছে টাইগাররা। ইনিংসের বিশ বল বাকি থাকতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও নাইমের ব্যাট থেকে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান; খেলেছেন ৫০টি বল। ব্যাটিং লাইনআপে বেশ কিছু ওদল-বদল করলেও কাজের কাজটা হয়নি কিছুই। তিনে মাহেদি হাসান, পাঁচ আর ছয়ে নুরুল হাসান সোহান এবং আফিফ হোসেনকে পাঠালেও তিনজনের কেউই পারেননি দুই অঙ্কের রান ছুঁতে। শেষ বিশ বলে তাই টাইগারদের ভরসা সাত এবং আটে নামা দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমের ওপর।
কিন্তু, আরো একবার আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ মুশি; ফায়াজ বাটের স্লোয়ার বলে ৫ বলে মাত্র ৬ রান করেই উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ড্রেসিং রুমে। পরের বলেই লং অফের ওপর দিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট সাইফউদ্দিনও। ফায়াজ অন অ্যা হ্যাটট্রিক, কিন্তু রিয়াদের কল্যাণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকটা হলো না ওমান পেসারের। উল্টো নিজের ওভারের শেষ বলে রিয়াদের বাউন্ডারিতে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে করেছেন নিজের চার ওভারের সমাপ্তি, উইকেট নিয়েছেন ৩টি।
শেষ ওভারের প্রথম বলটাই চার দিয়ে শুরু করেছেন তাসকিন, দ্বিতীয় বলেই এক নিয়ে স্ট্রাইক দিয়েছেন রিয়াদকে। কিন্তু বিলালের তৃতীয় বলটাতে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে রিয়াদ; ড্রেসিং রুমে ফিরার আগে করেছেন ১০ বলে ১৭। পরের তিন বলে ফিজ-তাসকিন মিলে স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছেন মাত্র ২ রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৩।