১৩ জুন শুরু হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসর আয়োজনের অধিকার হারাতে যাচ্ছে কলম্বিয়া। সেক্ষেত্রে সহ-আয়োজক থেকে টুর্নামেন্টের একমাত্র আয়োজক হবে আর্জেন্টিনা। অফিশিয়ালি জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল।
লাতিন আমেরিকান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা শুরুর হতে বাকি আর তিন সপ্তাহ, এরই মধ্যে আর্জেন্টিনার সাথে সহ-আয়োজক কলম্বিয়ার করোনা পরিস্থতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। সেই কারণে কলম্বিয়াকে আর সহ-আয়োজক রাখতে রাজী নয় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা, কনমেবল। তবে কলেম্বিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রী আর্নেস্তো লুচেনা করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কোপা আমেরিকা পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
যদিও এ ব্যপারে কনমেবলের অবস্থান পরিষ্কার। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূ্র্তে টুর্নামেন্ট পেছানো অসম্ভব। বরং পরবর্তীতিতে কলম্বিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সেখানে অন্য কোন টুর্ণামেন্ট আয়োজনে আগ্রহ দেখাবে বলেও জানায় কনমেবল।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউ ছাড়াও দেশটিতে চলছে বিক্ষোভ। পরোক্ষভাবে যার কারণও করোনা প্যান্ডেমিক। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইভান ডিউক ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়েছেন, ফলে অন্যান্যদের চেয়ে বেশি সমস্যায় ভুগছেন করোনার কারণে কর্মহীন মানুষরা। তাদেরই একটা বড় অংশ বাড়তি ট্যাক্স না দেয়া এবং ট্যাক্স কমানোর দাবীতে বিক্ষোভ করছে। রাজধাণী বোগোতাসহ কয়েকটা বড় শহরে তৈরী হয়েছে নিরাপত্তাজনিত নানাবিধ সমস্যা। করোনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কোপা আমেরিকার সহ-আয়োজক হিসাবে কলম্বিয়াকে সরিয়ে দিয়েছে কনমেবল।
এ ব্যাপারে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কলম্বিয়া কোপা আমেরিকা আয়োজন করতে না পারলে, আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রস্তুত।
আর্জেন্টিনাতেও করোনা পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো সেটিও বলা যাচ্ছে না। দৈনিক রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে মেসিদের দেশে। এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৩৫ লাখ, সরাকারি হিসেবেই মারা গেছেন ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। যদিও বেসরকারি হিসিবে এই সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি হতে পারে বলে দাবী করে আসছে স্থানীয় কয়েকটা গণমাধ্যম।