একজন চোটের কারণে এতোদিন ছিলেন না, আরেকজন চোট থেকে ফিরেছিলেন, কিন্তু থেকেও ছিলেননা। মৌসুমের শুরু থেকেই একজনের উপস্থিতির অভাব ও আরেকজনের ফর্মের অভাব ভোগাচ্ছিলো বার্সেলোনাকে। একটি ম্যাচেই পূরণ হয়ে গেলো উভয় অভাবই। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৮৭ মিনিটের সময় বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথমবারের মতো কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মাঠে নামলেন সার্জিও আগুয়েরো, তার দুই মিনিট আগেই এই মৌসুমে চোট থেকে ফেরার পর প্রথমবারের মতো গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখলেন ফিলিপে কুতিনিও। এর সাথে মেমফিস ডিপেই ও আনসু ফাতির গোলের কল্যাণে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে লা লিগায় ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেলো রোনাল্ড কোম্যানের দল।
Sergio Aguero in Barcelona colors for the first time 🔵🔴 pic.twitter.com/Jdqdn3zJ3g
— B/R Football (@brfootball) October 17, 2021
ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের প্রথম ৫ মিনিটেই গোল দিয়ে অবশ্য এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়াই। কর্নারের পর সৃষ্টি হওয়া জটলার মাঝে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নিয়ে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া লেফটব্যাক হোসে গায়া। সাত মিনিট পরই বক্সের বাইরে থেকে আরেকটি দূরপাল্লার শটে গোল করে তাঁর জবাব দেন বার্সেলোনার ‘নাম্বার টেন’ আনসু ফাতি।
১-১ এ সমতা আসার পর অবশ্য ভ্যালেন্সিয়া বারবার বার্সেলোনার রক্ষণ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে থাকে ভ্যালেন্সিয়ার গেদেস-সোলের-গোমেজরা। কখনো নিজেদের ভুলে তো কখনো এরিক গার্সিয়া-পিকেদের নৈপুণ্যে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ভ্যালেন্সিয়া। অপরদিকে এই মৌসুমের সিংহভাগ সময়ের মতো এই ম্যাচেও সমন্বয়হীন ছিল বার্সেলোনার আক্রমণ। আনসু ফাতি ছাড়া ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণে ভীতি জাগাতে পারছিলোনা কেউই। দ্বিতীয়ার্ধের ঠিক আগে অবশ্য আনসু ফাতির কল্যাণেই আসে বার্সেলোনার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। ফাতির একটি নিশ্চিত আক্রমণ ঠেকাতে পেছন থেকে ডি বক্সে তাঁকে ট্যাকল করে বসেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলদাতা হোসে গায়া; পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। নিজ জাতীয় দলের সতীর্থ জ্যাসপার সিলেসেনের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন মেমফিস ডিপেই।
Full time: Barcelona beat Valencia 3-1 with goals from Fati, Memphis and Coutinho. Up next: Dynamo Kyiv. pic.twitter.com/V4UieFPf2H
— barcacentre (@barcacentre) October 17, 2021
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের নেশায় আরো প্রবলভাবে আক্রমণ করে ভ্যালেন্সিয়া। তবে তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বার্সেলোনার রক্ষণভাগ, যারা অনেকদিন পর এই ম্যাচে ছিল চেনা ছন্দে, এবং গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। গঞ্জালো গেদেসের একটি সরাসরি শট অসাধারণ দক্ষতায় বাম হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্টেগান; দ্বিতীয়ার্ধ জুড়েই করেছেন এই জার্মান কিপার করেছেন অসাধারণ সব সেইভ। অবশ্য আজ ভাগ্যও সহায় ছিলনা ভ্যালেন্সিয়া; আরেকটি শট বারে লেগে গোলবঞ্চিত হন কার্লোস সোলের।এরপর বদলি হিসেবে নামা ফিলিপে কুতিনিও ৮৫ মিনিটে গোল করে ঠুকে দেন ভ্যালেন্সিয়ার কফিনে শেষ পেরেক।