কুমিল্লার ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলের ঘটনা; তাসকিন আহমেদের বলটা জাকের আলী অনিকের ব্যাটের কোণায় লেগে চার হতেই ভিক্টোরিয়ানস শিবিরে উল্লাস, নাসির হোসেনের মাথায় হাত। শুধুমাত্র ঐ দৃশ্যটুকুই যারা দেখেছে, তাদের ভাবনায় ততোক্ষণে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। কুমিল্লার জয়, ঢাকার পরাজয়। অথচ, তখনও প্রথম ইনিংস শেষ হতে আরও এক বল বাকি, ঢাকার ইনিংস তো আছেই!
লিটনের ২০, কায়েসের ২৮, চার্লসের ৩২, খুশদিল আর জাকেরের ঝড়ো ৩০ এবং ২০* রানের ইনিংসে কুমিল্লার সংগ্রহ ১৬৪, জয়ের জন্য ঢাকার লক্ষ্য ১৬৫। রানটা যে মিরপুরের এই উইকেটে পাহাড়সম সেটা তো তাসকিনের বলে জাকেরের ঐ বাউন্ডারিটা হবার পরপরই অনুমান করা যাচ্ছিলো। তবুও গোল বলের ক্রিকেটে কতো কিছুই তো ঘটে!
তবে, এই ম্যাচে অবিশ্বাস্য কিছুই ঘটেনি। ৬০ রানে জিতেছে ভিক্টোরিয়ানস। ঢাকার হয়ে উসমান ঘানি (৩৩), নাসির হোসেন (১৭), আল-আমিন হোসেন (১৪*) আর আরিফুল হক (১১) ছাড়া দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি আর কেউই। বল হাতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন নাসিম শাহ; ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন চার ব্যাটারকে, তৈরী করেছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভবানাও। শেষ অব্দি না হলেও, যা করেছেন তা অন্তত ভরসা দেবে ভিক্টোরিয়ানস শিবিরকে।
কুমিল্লার টানা চার জয়, ঢাকার টানা ছয় হার! তিন ম্যাচ হেরে আসরের শুরু করা ভিক্টোরিয়ানস যখন পরের রাউন্ড নিশ্চিত করার অপেক্ষায়, জয়ে শুরু করা ঢাকা ডমিনেটরস তখন বিদায়ের শঙ্কায়। টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে জমে উঠেছে বিপিএল, সামনে বাঁচা-মরার লড়াই, কারোর আবার শীর্ষস্থান ধরে রাখার।