বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব আবারও শুরু হওয়ার পথে, ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো দলগুলো। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে দেশের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে। যেসব দেশ যুক্তরাজ্যের রেড জোনের তালিকায় আছে, সেইসব দেশের কোনো খেলোয়াড়কেই ছাড়া হবে না দেশের হয়ে খেলতে; এমনটাই জানিয়েছে ইংলিশ লিগ কর্তৃপক্ষ। এতে কপাল পুড়েছে লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ-অ্যালিসন-ফিরমিনোদের। আগামী মাসে ব্রাজিল খেলবে বাছাইপর্বের গুরুত্বপুর্ণ তিনটি ম্যাচ, যার একটিতে প্রতিপক্ষ কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সালাহর মিশরের প্রতিপক্ষ অ্যাঙ্গোলা ও গ্যাবন।
Premier League clubs have today reluctantly but unanimously decided not to release players for international matches played in red-list countries next month
Full statement: https://t.co/JBl6FuzUNC pic.twitter.com/EJiZaODub1
— Premier League (@premierleague) August 24, 2021
শুধু লিভারপুলেরই নয়, প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের রেড জোনে থাকা ২৬ দেশের ৬০ ফুটবলারের কাউকেই দেশের হয়ে আগামী মাসের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলার অনুমতি দেবে না তাঁরা। করোনার মোকাবেলা করতে যুক্তরাজ্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে; এরমধ্যে একটি হলো তাদের রেড জোনের তালিকাভুক্ত দেশগুলো থেকে যদি কেউ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে, তাহলে থাকতে হবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। বর্তমানে জমে ওঠা প্রিমিয়ার লিগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকলে যে মিস করবেন ২-৩টি ম্যাচ তা অনুমান করাই যায়! কোন ক্লাব চাইবে এরকম সময়ে তাদের সেরা খেলোয়াড়দের ছাড়তে!
“প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো কখনই চায়নি এমন কিছু হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাল তালিকায় থাকা দেশের খেলোয়াড়দের না ছাড়ার”-দলগুলোকে না ছাড়ার ব্যাপারে প্রিমিয়ার লিগ
এরআগে মিশরীয় ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছিল সালাহকে ছাড়তে ইচ্ছুক নন লিভারপুল। ক্লাব এবং দেশের মধ্যকার দ্বন্দ নতুন নয়; প্রতিকুল কোনো পরিস্থিতির সামনে যেন না পরতে হয় সেজন্যই হস্তক্ষেপ করেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছে তারা যে ফিফার নিয়ম মেনেই সবটা করেছেন।
“যদি আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলে কোন খেলোয়াড়ের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক না হয়, তাহলে সে যেতে পারে” -ফিফার নিয়ম নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ কতৃপক্ষ
উল্লেখ্য, কোয়ারেন্টাইনে ছাড় চেয়ে ক্লাবগুলো ব্রিটিশ সরকারের কাছে আপিল করলেও তা নাকচ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার।