আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ডিপিএলে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। শুক্রবার আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে দুদফা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে স্ট্যাম্পে আঘাত করেন সাকিব। ম্যাচ রেফারি বিষয়টি পর্যালোচনা করে এই শাস্তি নিশ্চিত করেছেন।
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে তখন ব্যাট করছে আবাহনী। আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বল, সাকিবের করা আর্ম ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত মুশফিক। প্ল্যাম্ব এলবিডব্লিউর আবেদনে সাঁড়া দেননি আম্পায়ার । সেই ওভারেই ১০ রান খরচ করা সাকিব তখন আচমকা আঘাত করে বসলেন স্ট্যাম্পে, ক্ষিপ্র হয়ে ছুটে গেলেন আম্পায়ারের কাছে। জানতে চাইলেন আউট না দেওয়ার কারন। আম্পায়ারের কথা যে সাকিবের মনঃপুত হয়নি তা সাকিবের চলে যাওয়া দেখেই বোঝা গেছে।
আবারো শেষ বল, আবারো দৃশ্যপটে সাকিব। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বল করার জন্য বোলিং মার্কে শুভাগত হোম প্রস্তুত, স্ট্রাইক প্রান্তে প্রস্তুত নাজমুল শান্ত। মেঘলা আবহাওয়ায় তবুও আম্পায়ার মাঠকর্মী ডাকলেন। সেখানেই রেগে গেলেন সাকিব, আম্পায়ারের কাছে রেগেমেগে জানতে চাইলেন কারন। একপর্যায়ে উপড়ে ফেললেন স্ট্যাম্প। রেগেমেগে হেটে গেলেন ড্রেসিংরুমের দিকে।
ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে আবাহনীর গুটিকয়েক দর্শকের অশোভন অঙ্গভঙ্গির জবাব হাতে তালি দিয়ে দেন সাকিব। আঙ্গুল উঁচিয়েও একপর্যায়ে কথা বলতে দেখা যায় সাকিবকে। সেখানেই রেগেমেগে অস্থির আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সাকিবকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে, সাকিবের সতীর্থ সামসুর রহমান শুভ নিয়ে যান সুজনকে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হয় বৃষ্টিতে। বৃষ্টির পর আম্পায়ার-আবাহনী খেলোয়াড়দের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায় সাকিবকে। শুক্রবার আঁচ করা গিয়েছিল নিষেধাজ্ঞার ব্যাপার। অবশেষে সেই সত্যতা মিলল। তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে।