২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

‘চার’ রানের আক্ষেপ নিয়েই শেষ বিজয়ের এবারের ডিপিএল

- Advertisement -

ডিপিএলের এক মৌসুমে ১৫ ইনিংসে নয় ফিফটি, তিন সেঞ্চুরি। ৯৯টি বাউন্ডারি ও ৪৭টি ছক্কা রান সংখ্যা ১১৩৮! আর গড়টা তো ৮১.২৯, স্ট্রাইক রেট একশো ছুঁইছুই (৯৮.৬১)।

এনামুল হক বিজয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ার এই মৌসুমের শেষ ম্যাচেও আরো একটা অনবদ্য ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। প্রাইমের ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে বৃহস্পতিবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

আগের ম্যাচেই পূরণ করেছিলেন ঘরোয়া লিগের এক মৌসুমে ১০০০ রান

বিকেএসপির ৩ নাম্বার মাঠে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে প্রাইম ব্যাংক। শুরুতে বেশ ধীরে-সুস্থেই এগোতে থাকেন তামিম ইকবাল। তবে, অপরপ্রান্তে এনামুল হক বিজয় খেলে গেছেন আগ্রাসী ভূমিকায়। ফিফটি করতে তামিমের ৮৪ বল লাগলেও মাত্র ৩৭ বলেই আসে বিজয়ের ফিফটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর ২৮তম ফিফটি।

এরপর, ১৩টি চার ও ছয়টি ছক্কার সাহায্যে ১৩২ বলে ১৩৭ রান করা তামিম আউট হলে ভাঙ্গে তামিম-বিজয়ের ২১৫ রানের জুটি। গত ম্যাচের মতো আজও সেঞ্চুরির পথে ভালভাবেই এগোতে থাকেন এ মৌসুমে ঘরোয়া লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে, তিন অংকে পৌঁছানোর মাত্র ৪ রান দূরে থাকলেই থামে বিজয়ের ইনিংস। বোল্ড হন এ.কে.এম হুসনা হাবিব মেহেদির বলে। সাজঘরে ফেরার আগে, ১৭২ মিনিট ক্রিজে টিকে থেকে ১১২.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ৮৫ বলে ৯৬ রান করেন এই ওপেনার। বিজয় ৮টি চার ও ৩টি ছয়ের মাধ্যমে এ রান তোলেন।

ঘরোয়া লিগের এক মৌসুমে বিজয়ের নয় ফিফটি, গড়েছেন নতুন রেকর্ড

সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও ডিপিএলে ফিফটির নতুন রেকর্ড গড়েছেন বিজয়। এর আগে ডিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ ৮ ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড ছিল নাঈম ইসলাম ও রকিবুল হাসানের দখলে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে নাঈম এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমে রকিবুল এই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। এবার নয় ফিফটি করে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বিজয়।

এই প্রতিবেদন লেখা অব্দি, প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ৪৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৬ রান। করিম জানাত ১৯ এবং ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি অপরাজিত আছেন ১২ রানে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img