চেন্নাই টেস্টে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। পাশাপাশি বোলিংয়ে ছিলেন একদম সাদামাটা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১ ওভার বল করে ৬.১৯ ইকোনমতিতে ১২৯ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এরচেয়ে বেশি ইকোনমিতে আর কখনোই বল করেননি সাকিব। টেস্টে ২০ ওভারের বেশি বল করে সাকিবের উইকেট শূন্য থাকার পঞ্চম ঘটনা এটি।
চেন্নাই টেস্টে সাকিবের বোলিংয়ে কার্যকরী না হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। সম্প্রতি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইএসপিনক্রিকইনফো’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাকিবের বোলিং বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। সেখানে উইকেট থেকে টার্ন না পাওয়ার পাশাপাশি ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে একাধিক বাঁহাতি ব্যাটারের আধিক্যকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মাঞ্জরেকার।
ভারতের সাবেক এ ব্যাটার বলেন, ‘তার জন্য একটা বড় সমস্যা হচ্ছে ভারতীয় দলে অনেক বেশি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শীর্ষ ছয়ে তিনজনই বাঁহাতি। যশস্বী জয়সোয়াল, ঋষভ পন্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজা তিনজনই বাঁহাতি এবং তারা ভালো ব্যাটসম্যানও। ফলে সে কিছুটা চাপে ছিল। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে উইকেট টার্নিং ছিল না। সাকিব এমন বোলার যে টার্নিং উইকেট পেলে ঠিকঠাক বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারে’
উইকেট থেকে টার্ন না পাওয়া এবং একাধিক বাহাতি থাকার কারণে চেন্নাই টেস্টে সাকিব নিজের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছেন বলে মনে করেন মাঞ্জরেকার। সেই সাথে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন একই কারণে তাকে দিয়ে বেশি বোলিং করাননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
মাঞ্জরেকার বলেন, ‘এই ধরনের উইকেট দেখে এবং প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দেখে হয়তো তার মনে হয়েছে যে তার ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলাটাই বেশি ভালো হবে। কারণ, প্রথম ইনিংসে যে ধরনের ব্যাটিং সে করেছে, মনে হচ্ছিল বেশ উজ্জীবিত হয়ে আছে। বোলিংয়ে তাকে আমার তেমন উজ্জীবিত মনে হয়নি। পাশাপাশি এটাও বলতে হবে যে (নাজমুল) শান্ত তাকে কম বোলিং করিয়েছে। যখন ঋষভ পন্ত ব্যাট করছিল, শুধু মেহেদী হাসানই এক প্রান্তে বোলিং করে গেল। ম্যাচআপের কারণেই এমনটা হয়েছে।’
দেখা যাক, কানপুর টেস্টে টাইগার অলরাউন্ডার দুর্দান্ত কিছু করতে পারেন কিনা।