আর্সেনালের ঘরের মাঠ এমিরেটসে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে লুকাকুর চেলসি। ৮ বছর পর চেলসিতে ফিরেই গোলের দেখা পেয়েছেন রোমেলু লুকাকু। লুকাকু আগেও তিন বছর কাঁটিয়েছেন চেলসিতে। ২০১১/১২ মৌসুমে চেলসিতে বেলজিয়ামের প্রায় সব তারকা খেলোয়াড়ই খেলেছেন। কিন্তু ১৮ বছর বয়সী লুকাকু তিন বছরে মাঠেই নামার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১০টি ম্যাচে; চেলসির হয়ে পাননি কোন গোলের দেখা। লুকাকু আবার যখন চেলসিতে ফিরেছেন, ততদিনে পেরিয়ে গেছে ৮টি বছর। অবশেষে পেয়ে গেলেন চেলসির জার্সিতে প্রথম গোলটাও। ম্যাচের ১৫ মিনিটেই পেয়ে গেছেন গোল, রিস জেমসের ক্রসে দুর্দান্ত গতিতে আর্সেনাল ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বলটাকে পায়ে লাগিয়ে জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। ম্যাচ শেষে চেলসি ২-০ গোলে জয় নিয়েই ছেড়েছে মাঠ। অন্য গোলটি করেছেন রিস জেমস। ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হার দিয়ে মৌসুম শুরু করা আর্সেনালের এটা টানা দ্বিতীয় হার।
উদিনেসের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে লিগে প্রথম ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে জুভেন্টাস। খেলার শুরুতেই স্কোয়াড দেখে চোখ কপালে, দলে যে নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর দলে না থাকা যেন উস্কে দিল তার দলবদলের ঘটনাগুলোকেই। ৬০ মিনিটে যদিও মাঠে নামানো হয় পর্তুগিজ তারকাকে, কিন্তু ততোক্ষণে তো কানাঘুষো শুরু হয়ে গেছে। নামটা যে রোনালদো! উদিনেসের সাথে ম্যাচে জুভেন্টাসের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালাকে। ৩ মিনিটে দিবালার গোলেই এগিয়ে যায় জুভেন্টাস; পরে ২৩ মিনিটে দিবালার পাসে গোল করেন জুভেন্টাসের কলম্বিয়ান রাইটব্যাক হুয়ান কুয়াদ্রাদো। প্রথমার্ধ শেষে ২-০ তে এগিয়ে জুভেন্টাস।
দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলতে থাকে উদিনেসে; পেনাল্টি থেকে ৫১ মিনিটে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রবার্তো পেরেইরার গোলে ব্যবধান কমায় তারা। ৮২ মিনিটে সাবেক বার্সা উইঙ্গার জেরার্দ দেলোফেউর গোলে সমতায় ফেরে উদিনেসে। ৯৪ মিনিটে গোল করেছেন রোনালদোও, কিন্তু সেটা হয়েছে অফসাইড। তাতে কি, জুভেন্টাস তারকা তো মাঠেই নেমেছিলেন সকল জল্পনা কল্পনা বাড়িয়ে দিতে। ২-২ গোলে ড্র থাকা ম্যাচে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে যখন রোনালদো গোল করলেন, বাঁধনহারা উদযাপনে খুলে ফেলেছিলেন জার্সিটাও। অফসাইডের কারণে গোল তো হলো না, উল্টো হলুদ কার্ড দেখলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
লেভান্তের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ; হারতে বসা মাদ্রিদের ত্রানকর্তা হয়েই যেন মাঠে এসেছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে দশ মিনিটের ব্যবধানে ৭৫ এবং ৮৫ মিনিটে করেছেন দুটি গোল। তার গোলেই সমতা ফিরে পেয়েছে রিয়াল। ম্যাচের ৫ মিনিটেই করিম বেনজেমার অ্যাসিস্ট করা বলটাতে গোল করে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন গ্যারেথ বেল। প্রথমার্ধ শেষেও গোল ঐ একটিই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলার গতি বাড়ে লেভান্তের; ৪৬ মিনিটে রজারের গোলে সমতায় ফেরে লেভান্তে। লুকাস ভাসকেজকে ফাঁকি দিয়ে গোলকিপার থিবো কর্তোয়ার পাশ দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। এরপর ৫৭ মিনিটে রিয়াল ডিফেন্ডারদের ভুলে পুরোপুরি ফাঁকা জায়গায় দাড়িয়ে থাকা হোসে কাম্পানার গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় দলটি।
কিন্তু ৭৫ মিনিটে বদলি ভিনিসিয়াসের গোলে রিয়াল সমতায় ফিরলেও সেটি বেশিক্ষণ টিকে থাকেনি। ৭৯ মিনিটে রবার পিয়ারের গোলে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় লেভান্তে। সুযোগ ছিল ৪-২ এ এগিয়ে যাওয়ারও, কিন্তু অ্যালেজান্দ্রো কানতেরোর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচটা তখন রিয়াল হেরেই গেছে মনে হচ্ছে, এমন সময়ে ৮৫ মিনিটে আরেকটি গোল করেন ভিনিসিয়াস; ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ ড্রতেই। নাটকীয় এই ম্যাচে শেষে ডি বক্সের বাইরে এসে বল হাতে লাগানোর কারণে লাল কার্ড দেখেছেন লেভান্তে গোলকিপার এইতর। সব বদলি খেলোয়াড় ব্যবহার করে ফেলার কারণে লেভান্তে ডিফেন্ডার রুবেন ভেসোকে গ্লাভস হাতে গোলপোস্টে পাঠায় লেভান্তে। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তির ভাষায় গতকালকের ম্যাচটি ছিল একটি অবিশ্বাস্যকর রকমের পাগলাটে ম্যাচ।