ইংলিশ লিগে যা একটু রোমাঞ্চ টিকে আছে তার সবটাই আগামী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর কোন দুই দল যাবে, সেটা নিয়ে। আরে সেই লিস্টে যে দুই দল অন্যতম ফেভারিট, চেলসি-লেস্টার মাঠে নেমেছিলো গতরাতে; লেস্টারকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পথ অনেকটাই সহজ করে ফেলেছে চেলসি।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসিই ফেভারিট ছিলো কারণ মাঠে ফিরেছে দর্শকরা। তারপরও ভয়ই থাকাটাই ছিলো স্বাভাবিক কারণ সবশেষ দেখায় এফ. এ কাপের ফাইনালে লেস্টারের সাথে হেরেছে চেলসি। প্রথমার্ধে হ্যান্ডবলের কারণে টিমো ভার্নারের গোল বাতিলই ছিলো চেলসি-লেস্টার ফার্স্টহাফ হাইলাইটস। ম্যাচের প্রথম গোল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। চেলসিকে লিড দেন জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার। এই রুডিগারই গেল বছর লেস্টারের সাথে করেছিলেন জোড়া গোল।
ঘন্টার কাটা পার হতেই লন্ডনের নীল শিবিরের হাতের মুঠোয় ম্যাচ নিয়ে আসেন জর্জিনিও, পেনাল্টি স্পট থেকে ব্যবধান করেন দুই এক। এই গোলেই এক ভিন্ন রেকর্ডে নাম তোলেন জর্জিনিও, মৌসুমে নিজের শতভাগ গোল পেনাল্টিতে। লেস্টারের বিপক্ষে লিড ডাবল করা গোলটি চলতি মৌসুমের জর্জিনিওর সপ্তম লিগ গোল, আগের ছয়টাও করেছেন পেনাল্টি স্পট থেকেই। ইংলিশ লিগে এক মৌসুমে কোন ফুটবলারের সবগুলো গোলই পেনাল্টি থেকে করার রেকর্ড আছে আর একজনেরই, লিভারপুলের জেমস মিলনার; ২০১৬-১৭ মৌসুমে।
৭৬ মিনিটে এক গোল ফেরত দেয় লেস্টার সিটি, গোল করেন কালেচি ইহেনাচো। সবশেষ ১৪ ম্যাচে ১৪ গোল করা নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারের গোলের পর বলার মতো আর কোন সুযোগই তৈরী করতে পারেনি লেস্টার। ম্যাচ হেরে শঙ্কায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া।
লিগের ৩৭ ম্যাচ শেষে টেবিলের তিনে ওঠা চেলসির পয়েন্ট ৬৭। সমান ম্যাচে লেস্টারের পয়েন্ট ৬৬, আছে চার নম্বরে। টেবিলের পাঁচে থাকা লিভারপুল সংগ্রহ ৬৩, আবার লেস্টার-চেলসির চেয়ে অল রেডরা ম্যাচ খেলেছে একটা কম। প্রিমিয়ার লিগে দর্শক ফেরার দিনে পুঁচকে ব্রাইটনের কাছে হেরে রীতিমতো সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, দুই গোলের লিড নিয়েও হেরেছে ২-৩ গোলে।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের দুই মিনিটেই লিড নিয়েছিলো সিটি। রিয়াদ মাহরেজের ক্রসে হেড থেকে গোল করেন ইলকায় গুন্ডোগান। ম্যাচের দশম মিনিটে লাল কার্ড দেখেন সিটির জাও ক্যানসেলো। তারপরও দুই গোলের লিড পায় সিটি, সিটিজেনদের জোড়া পূর্ণ করেন ফিল ফোডেন।
এরপরই দৃশ্যপট বদলে যায়। দ্বিতীয় গোল হজমের দুই মিনিট পর লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ডের গোলে ব্যবধান কমায় ব্রাইটন। এই গোলের পরই উজ্জীবিত হয়ে উঠে ব্রাইটন। ঘরের মাঠে দর্শকদের সাপোর্টও বড় শক্তি যুগিয়েছে। ৭২ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান টিম ওয়েবস্টার, তার ৬ মিনিট পরে লিড। ড্যান বার্নের গোলে ইতিহাস গড়া জয় পায় ব্রাইটন।
সিটির হারের দিন ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেলিগেশন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ফুলহ্যামের সাথে ড্র করেছে ১-১ গোলে।