চট্টগ্রামে বিসিবি উত্তরাঞ্চল এবং ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের মধ্যকার ম্যাচে যেন শতকের বন্যাই বয়ে যাচ্ছে। দুইদিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের এই ম্যাচ দেখেছে তিনটি সেঞ্চুরি। মোহাম্মদ মিঠুন, মিজানুর রহমান, সৌম্য সরকারের পর এবার সেঞ্চুরির পথে ছিলেন যুব বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও। কিন্তু, ১১৭ বলে ১১টি চার এবং ১টি ছয়ে ৯০ রান করেই হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তামিম।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই ছড়াচ্ছেন আলো, প্রতিভায় যেন ভরপুর তানজিদ হাসান তামিম। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সর্বনিম্ন এক হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট তার, পেছনে ফেলেছিলেন কুইন্টন ডি কক, ভানুকা রাজাপক্ষে, শুভমন গিলদেরও। সেই ডি কক, গিলরাই যখন মাতিয়ে বেড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, সেখানে তামিম এখনও জাতীয় দলেই পাননি ঠাই।
গত মাসেই জাতীয় লিগে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে খেলেছেন ১৪৫ রানের ইনিংস, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তামিমের প্রথম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে অভিষেক হয়েছিল গত মৌসুমে, ইস্ট জোনের হয়ে। অভিষেকেই করেছিলেন ৮৭ বলে ৮২ রান। লিস্ট-এ ক্রিকেটেও বজায় রেখেছেন ধারাবাহিকতা; অভিষেক ম্যাচেই করেছিলেন ৭৫ বলে ৬৪। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকার সময়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলেছিলেন ১১৭ রানের অনবদ্য ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন প্রস্তুতি ম্যাচে, সেখানেও করেছেন ৯৯ বলে ১২৫*!
পারফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এগোচ্ছেন তামিম। জাতীয় দলের ওপেনাররা যখন নিয়মিত ব্যর্থ হচ্ছেন, তখন তামিম তো জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন।