টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নিয়ে খুশি নন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম। দল নিয়ে তাঁর মতামতকে দেওয়া হয়নি গুরুত্ব। এমনকি, দল নিয়ে মতবিরোধের জের ধরেই নাকি সোমবার প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মিসবাহ-উল-হকও।
সোমবার পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেখানে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান আজম খান ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শোয়েব মাকসুদকে মূল দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান ফখর জামান ও পেসার ফাহিম আশরাফ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ‘অতিরিক্ত’ হিসেবে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম জিও নিউজ এর সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, এই জায়গাটিতেই আপত্তি জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক; তিনি নাকি ফখর ও ফাহিমকেই চেয়েছিলেন মূল দলে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আজম খানের অভিষেক হয়েছে এ বছরের জুলাই মাসে। মাত্র ৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। শোয়েব মাকসুদ ২৬টি টি-টোয়েন্টি খেললেও রান করেছেন মাত্র ১৩.৬৫ গড়ে; স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১৬.৬৬। অপরদিকে ফখর জামান ও ফাহিম আশরাফ দুজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিস্তর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও নিয়মিত পারফর্মার। পাকিস্তানের হয়ে একাধিক বিশ্ব আসরেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই দুজনের।
জানা গেছে, পিসিবির সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ সভাপতি রমিজ রাজার সুপারিশেই নাকি আজম ও মাকসুদকে দলে রাখা হয়েছে। দল নির্বাচন নিয়ে নিজের ইচ্ছা সম্পর্কে তাঁর সাথে আলোচনাও করেছেন বাবর, তবে তাঁর অনুরোধ নাকি রাখেননি রমিজ।
জিও নিউজ এর সূত্রমতে আরো জানা যায় যে, দলে আজম খানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে পিসিবি’র সিইও ওয়াসিম খানের সাথে তর্কবিতর্ক করেছিলেন প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হকও। এই মতানৈক্যের জের ধরেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এবং ওয়াকার ইউনিসকে নাকি বোর্ড থেকেই পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়া হয়।
আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য সাকলায়েন মুশতাক ও আব্দুল রাজ্জাক কোচিং প্যানেলে মিসবাহ ও ওয়াকারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। তবে তাঁদের পূর্ণকালীন দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি বোর্ড।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল:
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মাকসুদ, আজম খান, আসিফ আলি, শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, ইমাদ ওয়াসিম, হাসান আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফ।
অতিরিক্ত খেলোয়াড়: ফখর জামান, শাহনাওয়াজ দাহানি, উসমান কাদির।