ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দল যেখানে নিজেদের হারিয়ে খুজছে, সেখানে তাসকিন ছিলেন দুর্দান্ত। কিন্তু, নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নন তাসকিন। দলের জয়টা না এলে যে এমন পারফরম্যান্সের কোনো মূল্যই নেই সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই।
“আলহামদুলিল্লাহ, ভালো হয়েছে। কিন্তু, দিনশেষে ম্যাচ জিততে না পারলে তো খারাপ লাগে”
পুরো টুর্নামেন্টেই আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি বাংলাদেশ দল নিয়ে। বাইরের চাপের সাথে নিজেদের খারাপ পারফরম্যান্স, সবমিলে বেশ চাপেই যে আছে টাইগাররা তা স্পষ্ট তাসকিনের কথাতেই, “আসলে আমরা তো একটু ব্যাকফুটে কিছু ম্যাচ হারাতে। তাই, ব্যাটিং ইউনিটে আত্মবিশ্বাস একটু নীচে থাকার কারণে আসলে হয়তো ভালো হয়নি। যদিও ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত আমরা বেশি রান করতে না পারায় ম্যাচটা হেরেছি”
দল হারলেও তাসকিনের বিশ্বাস এতটাও খারাপ ক্রিকেট খেলে না টাইগাররা, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা এখনো আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আমরা এরচেয়েও ভালো খেলতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যবশত কিছু সহজ ম্যাচ আমরা জিততে পারিনি”
সমালোচনা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। দলের এই খারাপ সময়ে টাইগার পেসার সমালোচনাটে নিচ্ছেন স্বাভাবিক ভাবেই, “যখন দিনশেষে দলের পারফর্ম ভালো হয়না তখন সবকিছুই অনেক কঠিন একজন খেলোয়াড়ের জন্য। খুবই স্বাভাবিক যে, ভালো না খেললে অনেক কথা হয়। অনেক কিছু হয়। সবমিলে প্লেয়াররাও অনেক চাপে থাকে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ভালো হয়নি কিছুই, সেটা সবাই দেখেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে। ইনশাআল্লাহ”
দল প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে মোটেই ৮৪! সাউথ আফ্রিকার পেসাররা নাচিয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের। উইকেটে সবুজ ঘাস থাকার পরেও কেনো দুই পেসার সেই ব্যাপারে বলতে গিয়ে তাসকিন জানান, “বেস্ট ইলেভেন সাজানো তো আমাদের হাতে নেই। দিনশেষে যেই দলটা আমাদের দেয়া হয়, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করি। টিম সাজানোটা ম্যানেজমেন্টের হাতে”
ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। একাদশে ছিলেন না মুস্তাফিজুর রহমানও। দুজনকে যে বেশ মিস করেছে বাংলাদেশ দল সেটা স্পষ্ট টাইগার পেসারের কথাতেই, “সাকিব ভাই আর মুস্তাফিজ যে কোনো সাদা বলের ক্রিকেটে বা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের অন্যতম শক্তি। দুর্ভাগ্যবশত সাকিব ভাই ইনজুরড হয়ে গিয়েছে। আর, মুস্তাফিজ আজকে ছিল না স্কোয়াডে। ওরা থাকলে বাংলাদেশের জন্য সবসময়ই বাড়তি একটা শক্তি আর বিপক্ষ দলের জন্য চিন্তার”
সবশেষে তাসকিন জানিয়েছেন দেশের জন্য জিততে চান একটা ম্যাচ হলেও। সেইসাথে খারাপ খেলায় করেছেন অসহায় আত্মসমর্পন, “দুইটা জেতা ম্যাচ যদি জিততে পারতাম, তখন হয়তো অনেককিছুই মনে হইতো না। কিন্তু, সহজ দুটো ম্যাচ হারাতে সবকিছুই আমাদের বিপক্ষে মনে হচ্ছে। যেটা চলে গেছে সেটা তো ফিরায় আনতে পারবো না। সামনে একটা ম্যাচ আছে। ওটা যতোটুকু ভালো খেলা সম্ভব চেষ্টা করবো। একটাও যদি জয় উপহার দিতে পারি দেশকে, এটাই আমাদের জন্য অনেক। ইচ্ছাকৃত কেউই তো খারাপ করে না। কিন্তু, হচ্ছে না। চেষ্টা করা সত্ত্বেও”