১১ তম ওভারের শেষ বলটাতে কাভারের উপর দিয়ে অধিনায়ক লিটন দাসের চার; নিজের অর্ধশতকের সাথে সাথে দলীয় শতকটাও এসে গেছে শোয়েব খানকে হাঁকানো বাউন্ডারিতে। প্রথম উইকেট জুঁটিতেই ১০০ রান; বিশ্বকাপের জন্য আদর্শ প্রস্তুতিই বটে। টানা দুই বলে দুই চার মারা লিটন পরের ওভারেও শুরুটা করতে চেয়েছিলেন বাউন্ডারি দিয়েই। ক্রিজ থেকে খানিকটা বেড়িয়ে এসে স্পিনার সামায় শ্রীবাস্তবকে মেরেছিলেনও সজোরে। আর তাতেই বিপত্তি; সামায়ের ক্যাচে পরিণত হয়েই ড্রেসিং রুমের পথে লিটন, ছয় চার আর এক ছয়ে সংগ্রহ ৫৩!
ওমানের আল আমিরাত মাঠে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দল। লিটন ব্যক্তিগত ৫৩ রানে ফিরে গেলেও, একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসটাকে দক্ষতার সাথে এগিয়ে নিয়েছেন মোহাম্মদ নাইম। সৌম্য সরকার ভালো শুরুর আভাস দিয়েও কাভারের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ফিরেছেন ড্রেসিং রুমে। আফিফ হোসেন এসেই প্রথম বলে হাঁকিয়েছেন ছক্কা; নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে আবারো বাউন্ডারী হাঁকাতে গিয়ে আমের কালেমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন খুররার নাওয়াজের হাতে। এর আগে আমেরকেই প্রথম বলে স্কুপ করতে গিয়ে উইকিটকিপারের ক্যাচে পরিণত হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম।
আমেরের ওয়াইডের দাগে করা বলটাকে মিড অফে তুলে মারলেন নুরুল হাসান সোহান; নিশ্চিত ক্যাচটাকে আলোর কারণে ছেড়ে দিলেন বাউন্ডারি লাইনে দাড়ানো ফিল্ডার। হাতটা ছোঁয়ানোর চেষ্টাটুকুও করলেন না। পরের বলেই অফ স্ট্যাম্পের উপর চড়ে বসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সোহানের বড় ছক্কা; বল খুঁজে পেতে লাগছে সময়। সেই সুযোগে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে নাইম; ফিরে যাওয়ার আগে খেলেছেন ৫৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। মূলত ফিনিশিংয়ে নুরুল হাসান সোহানের সাথে শামিম পাটোয়ারীকে সুযোগ করে দিতেই মাঠ থেকে নেমে গেছেন টাইগার ওপেনার। টিম ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনাটাও বোধহয় ছিল এমনই।
ম্যানেজম্যান্টের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন দুজনই। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহটাও তাই ২০৭। মাত্র ১৫ বলে ৭ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত সোহান; শামিমের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৯ রান। ওমান ‘এ’ দলের হয়ে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন আমের এবং সামায়।