বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসার হারিস রউফ। তাকে ঘিরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে দেশটির সমর্থকরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার আগে জীবনটা সহজ ছিলনা এ পেসারের। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রামাণ্যচিত্র ‘ইনক্রেডিবল রাইজ অব হারিস রউফ’ এ উঠে আসার গল্প জানিয়েছেন রউফ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার আগে টেপ টেনিস বলে খেলতেন রউফ। এমনকি নাশতা বিক্রিও করেছেন তিনি। ক্রিকেইফোকে রউফ বলেন, “রোববারে নাশতাও বিক্রি করতাম। মায়ের একটা স্বপ্ন ছিল নিজেদের একটা বাড়ি হবে। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, বাবা আমার ফি দেওয়ার মতো আয় করতেন না। আমি নিজেও এমন আয় করতাম না। কিন্তু টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে সহজেই ফি দিতে পারতাম। টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে পাকিস্তানে ক্রিকেটাররা দুই থেকে আড়াই লাখ রুপি পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আমিও এমন আয় করতাম আর টাকা মায়ের হাতে দিতাম”
২০১৭ সালে লাহোর কালান্দার্সের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন রউফ। এরপরই ভাগ্য বদলে যায় এ পেসারের। কিভাবে কালান্দার্সের ট্রায়ালে টিকে গিয়েছিলেন জানিয়েছেন তিনি।
রউফ বলেন, “ট্রায়ালে যাঁরা ঘণ্টায় ৮৩ থেকে ৮৪ মাইল গতিতে বল করছিলেন, তাঁদের নির্বাচন করা হচ্ছিল। কিন্তু আমি যখন বল করি, প্রথম বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮৮ মাইল। তাহির মুঘল (কোচ) ভেবেছিলেন স্পিড মেশিনে কোনো সমস্যা আছে। তিনি আকিব ভাইকে ডাক দেন। আকিব ভাই আমাকে বল করতে বলেন, দ্বিতীয় বলটা করলাম ৯০ মাইল গতিতে। যখন আবার বোলিং করতে বললেন, তৃতীয় বলটা করলাম ৯২ মাইল গতিতে”
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রউফকে। কালান্দার্সের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় রউফের। ওয়ানডেতে ২৮ ম্যাচে ৫৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়াও ৬২ টি-টোয়েন্টিতে ৮৩টি উইকেট শিকার করেছেন রউফ।