আগামী ৩ মার্চ কটকে রঞ্জি ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বারোদা এবং হায়দ্রাবাদ। রঞ্জি ট্রফিতে ব্যাট হাতে ফর্মে থাকলেও, এই সময়টাতে জীবনের সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছেন বারোদার মিডল অর্ডার ব্যাটার এবং সহ-অধিনায়ক বিষ্ণু সোলাঙ্কি। রঞ্জি ট্রফি শুরু করার আগে অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখে শুরু করেছিলেন টুর্নামেন্ট।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি জানতে পারেন কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন বিষ্ণু। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে পরদিন জানতে পারেন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে তার কন্যা। এরপর দল থেকে ছুটি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন সন্তানের শেষকৃত্যে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি যোগ দেন দলের সাথে।
খেলতে চান বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে।আবারো দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে তাকে। তবে এবার ম্যাচ চলাকালীন। ম্যাচ চলাকালীন জানতে পারেন সন্তানের পর এবার হারিয়েছেন বাবাকে। যাওয়া হয়নি বাবার শেষকৃত্যে। পেয়েছিলেন ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিংরুমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি। চন্ডিগড়ের বিপক্ষে করেন সেঞ্চুরি। পরিবারের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার সুযোগটা নিচ্ছেন না তিনি। পরিবারের সাথে আপাতত যোগ দিচ্ছেন না। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলবেন হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে।
যেনো নতুন এক দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন সোলাঙ্কি। এর আগে ভারতের ক্রিকেটে এমন একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ভিরাট কোহলি। বাবার মৃত্যুর সময় দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলছিলেন ভিরাট, মৃত্যু সংবাদ পেলেও দলকে ফেলে আসেননি তিনি। শোকার্ত মন নিয়েও পরিদন মাটি আকড়ে টিকে ছিলেন ক্রিজে।
একের পর এক মৃত্যুর সংবাদ শোনার পরেও মনোবল ধরে রেখে নিজের সেরাটা দিয়ে ব্যাটিং করা, খেলা চালিয়ে যাওয়া এবং পরিবার থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে সার্ভিস দেওয়া সবই যেনো অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করলো।