“প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ সেরা হোক বা দ্বিতীয়, শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশ যথাক্রমে ‘এ১’ ও ‘বি১’ হিসেবেই সুপার টুয়েলভে কোয়ালিফাই করবে”- গত ১৭ আগস্ট বিশ্বকাপের আগে এমনই এক ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘোষণা দিয়েছিলো আইসিসি।
অর্থাৎ ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স আপ যাই হোক না কেন, বাংলাদেশকে ‘বি১’ হিসেবেই সুপার টুয়েলভে গ্রুপ ২ এ ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ‘এ২’ সঙ্গীই হতে হত। ঠিক একইভাবে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ গ্রুপ থেকে কোয়ালিফাই করলে ‘এ১’ হিসেবে তাদের গন্তব্য অবধারিতভাবে ছিল সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ১। যেখানে তাদের সঙ্গী হত ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ‘বি২’।
সুপার টুয়েলভে একই গ্রুপে যাতে সব উপমহাদেশের দল না পড়ে যায়, আরেক গ্রুপে যাতে চলে না যায় সব বাইরের দেশগুলো এই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিল ক্রিকেটের কর্তা সংস্থাটি।
তবে বিশ্বকাপ চলাকালীন হঠাৎ করে হুট যেন খেয়াল হয়েছে আইসিসির যে ‘আচ্ছা, পড়লেই বা সমস্যা কি?’ তাইতো প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়ার আগে বিশ্বকাপের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে তারা।
বুধবার আইসিসি প্রকাশিত এক মিডিয়া এডভাইজারিতে জানানো হয়, নির্দিষ্ট দলের জন্য সুপার টুয়েলভে নির্দিষ্ট কোন গ্রুপ আর নয়, এখন গ্রুপ নির্ধারিত হবে কোয়ালিফাই করা দলদের অবস্থান অনুযায়ী।
Here you go! ICC clarified the rules, A2 and B2 will be the team qualifies as 2nd among respective groups.
Previously, BAN & SL would have qualified only with A1 & B1 seedings for the Super 12s.#T20WorldCup2021 #teamBangladesh #BNG #T20WorldCup pic.twitter.com/bf0wpQbXry
— Tiger Army (@TigerArmybd) October 20, 2021
“সুপার টুয়েলভে যে দুটি দল প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ ‘এ’ ও গ্রুপ ‘বি’ এর শীর্ষে থেকে কোয়ালিফাই করবে তারাই যথাক্রমে ‘এ১’ ও ‘বি১’ হবে। রানার্স আপ হয়ে কোয়ালিফাই করা দলেরা হবে ‘এ২’ ও ‘বি২’।”
এর অর্থ, নতুন নিয়মে যদি বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ালিফাই করে তবেই সুপার টুয়েলভে গ্রুপ ২ এর অংশ হতে পারবে তারা, রানার্স আপ হলে তাদের চলে যেতে হবে গ্রুপ ১ এ।
আইসিসির এই ‘মতিভ্রমের’ কারণে বাংলাদেশের আগে থেকে করে রাখা পরিকল্পনায় ছেদ পড়তে পারে, আবার নতুন সম্ভাবনার দুয়ারও খুলে দিতে পারে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ালিফাই করলে তো আগের রণপরিকল্পনাই থাকলো, আবার রানার্স আপ হলে গ্রুপ ১ এ উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে আমিরাতের মন্থর পিচে নিজেদের স্পিন শক্তি ও মুস্তাফিজুর রহমানের কার্যকরী বোলিং কাজে লাগনোর সুবিধাও যে নেওয়া যাবে।
তবে সবই অবশ্য নির্ভর করছে বাংলাদেশের সুপার টুয়েলভে কোয়ালিফাই করার ওপর। যার জন্য বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই।