আঙুলের ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার পরিবর্তে দলে এসেছেন ডান হাতি স্পিনার নাঈম হাসান। গত রোববার ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঘাত পান মিরাজ, পরে চিড় ধরা পড়ে ডান হাতের আঙুলে। থাকতে হবে দুই সপ্তাহের বিশ্রামে। এর পর আছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার বাকী অংশ। তাই আপাতত মিরাজের আর খেলা হচ্ছেনা।
বিগত কয়েক সিরিজে ব্যাটে বলে সমান তালে পারফর্ম করা মিরাজের জায়গায় পাওয়া সুযোগে মিরাজের অভাব পূরণের আত্মবিশ্বাস আছে চট্টগ্রামের এই স্পিনারের। অলরাউন্ডারকে এই ছয় ফুটের অধিক উচ্চতার এই স্পিনার জানিয়েছেন,
“মিরাজ ভাইয়ের ইনজুরির কারণে সুযোগ আসছে, এজন্য একটু খারাপ লাগতেছে। কারণ উনি খুব ভাল ফর্মে ছিলেন, ব্যাটিং-বোলিং দুইটাই খুব ভাল করতেছিলেন; শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হয়তো ভাল করতেন। চেষ্টা করবো তার (মেহেদি মিরাজ) অভাব যেনো পূরণ করতে পারি কারণ বিসিএল-এনসিএল দুই জায়গাতেই উইকেট নেয়ার পাশাপাশি রানও করেছি, তাই ভাল করার আত্মবিশ্বাসও আছে।’’
প্রিমিয়ার লিগে নাঈমের দল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব সুপার লিগে উঠেনি। আপাতত হোম টাউন চট্টগ্রামেই আছেন তিনি। তবে থেমে নেই অনুশীলন এবং নিজেকে প্রস্তুত রাখার আয়োজন। হঠাৎ পাওয়া সুযোগে এবার নিজেকে প্রমাণের সুযোগ। শুধু বোলার হিসেবে নয়, পারফর্ম করতে চান অলরাউন্ডার হিসেবে। আর নিজেকে প্রস্তুতও রেখেছেন সেভাবে। অলরাউন্ডারকে নাঈম জানান,
‘‘নিজেকে প্রমাণেরও সুযোগ পাচ্ছি এটা সবচাইতে বড়। সবসময়ই আমরা ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রস্তুত রাখি। এই যেমন, প্রিমিয়ার লিগে আমার দল সুপার লিগে ওঠেনি তাই বাড়িতে চলে এসেছি। এখন আমি চট্টগ্রামে কিন্তু প্রতিদিনই নিয়মমতো অনুশীলন করি, ফিটনেস বা বোলিং সবকিছুতেই সর্ব্বোচ্চ গুরুদ্ব দেই, সাথে ব্যাটিংটাও করি। আমাদের লক্ষ্যই থাকে, যখনই সুযোগ তখনই নিজেকে মেলে ধরা আর এজন্য সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয়।’’
গত রোববার বিকেএসপিতে শেখ জামালের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচের ১৮তম ওভারে সানজামুল ইসলামের বলে তামিম ইকবাল মারা বলে ওয়াইড লং অনে ক্যাচ নিতে দিয়ে আঙুলে আঘাত পান মিরাজ। সাথে সাথে নেওয়া হয় হাসপাতালে।