চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বিসিবি হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের মধ্যকার চার ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং ধ্বসে পরে বড় রান সংগ্রহ করতে পারেনি এইচপি দল। ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে আকবর-তামিমরা।
টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ম্যাচের শুরুতেই শহীদুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর তানজিদ তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয় বিপর্যয় সামাল দেওয়ার কাজ শুরু করেন। শুরুতে ধীরে খেললেও পরে স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ‘জুনিয়র’তামিম; ৬৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। অপরপ্রান্তে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদুল জয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে গড়েন ১৩০ রানের জুটি।
২৫তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির স্লোয়ার বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে জয় ফিরে গেলে ভাঙ্গে জুটি। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি তানজিদ তামিমও। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ৮১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১৬০ রানে তৌহিদ হৃদয় রান আউট হন ৮ রান করে। এরপর শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক আকবর আলী। উইকেটের চারপাশে শট খেলে দ্রুতই রান তুলতে থাকেন দুজনে। তাঁদের ৫১ রানের জুটি হয় মাত্র ৪৮ বলে। অবশ্য এরপরই আবারো ধ্বস নামে এইচপির ব্যাটিংয়ে। শহিদুল ইসলামের বলে ২৪ বলে ২৮ রান করে কট বিহাইন্ড হন আকবর আলী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা শামীম হোসেনও খুব বেশিকিছু করতে পারেনি। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২ বলে ৮ রান করে। ফিফটির ঠিক পরপরই রুবেল হোসেনের বলে আবারো কট বিহাইন্ড হন শাহাদাত; ফেরেন ৫১ রানে।
লেজ ছেঁটে দেন মোসাদ্দেক-রুবেলরা। ৪ উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও শহীদুল ইসলাম।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নিতে ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচটি খেলছেন মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ‘অতিরিক্ত’ হিসেবে থাকা রুবেল হোসেনও আছেন ‘এ’ দলের একাদশে। এছাড়াও খেলছেন ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা শামীম হোসেন ও ‘অতিরিক্ত’ হিসেবে থাকা লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব খেলছেন এইচপি একাদশে।