টানটান উত্তেজনার ফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশুন্য ড্র থাকার পর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লাওতারো মার্তিনেজের গোলে জয় নিশ্চিত হয় লিওনেল মেসির দলের।
ম্যাচের শুরু থেকে আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে কলম্বিয়া। বল দখল-আক্রমণ সবদিকে এগিয়ে ছিল হামেস রদ্রিগেজের দল। যদিও ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পেয়েও গঞ্জালো মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জুলিয়ান আলভারেজ। এরপর ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। যদিও লুইস ডিয়াজের গড়ানো শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এক মিনিটের মধ্যেই রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট নিলেও বল চলে যায় বারের ঠিক পাশ দিয়ে।
১৩তম মিনিটে তৃতীয়বারের মতো আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্তা হেড করলেও বল ধরে ফেলেন মার্তিনেজ। ৩৩তম মিনিটে দারুণ এক শট করেন জেফারসন লারমা। সেই বল আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের হাতে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়লেও কিছুক্ষণের মধ্যেই আবারও খেলতে নামেন লিওনেল মেসি। তবে বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় গোলশুন্য সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দুই দল লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। ৪৮ মিনিটে কলম্বিয়ার জোন কর্দোবার হেডে বল পাওয়া সান্তিয়াগো আরিয়াসের ডান পায়ের শট পোস্টের সামান্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরই সুযোগ আসে আকাশি-নীলদের। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের পাসে বল পাওয়া আনহেল দি মারিয়ার বাঁ-পায়ের শট রুখে দেন গোলরক্ষক ক্যামিলো ভার্গাস।
ম্যাচের ৫৪ মিনিটে কর্দোবার হেডে ছয় গজ দূর থেকে হেড নেন ডেভিনসন সানচেজ। সে বল চলে যায় পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে যায়। চার মিনিট পর আবারও দি মারিয়ার শট ভার্গাস প্রতিহত করেন।
৬৪ মিনিটে বলের দখলের লড়াইয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান মেসি। পায়ের পুরনো চোটে শেষ পর্যন্ত কোচ লিওনেল স্কালোনি বাধ্য হন মেসিকে বেঞ্চে বসিয়ে নিকোলাস গঞ্জালেসকে নামাতে। মাঠ ছেড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেসি। ৭১ মিনিটে চোটে পড়া গঞ্জালো মন্টিয়েলের বদলে নাহুয়েল মলিনাকে মাঠে নামান স্কালোনি।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার নিকোলাস তাগলিয়াফিকো গোল করলেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ভিএআর চেক করে দেখা যায় ওই সময় বাঁ-প্রান্তে এনজো ফার্নান্দেজ অফসাইড পজিশনে ছিলেন। ৮৮ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর দি মারিয়ার হেডে অল্পের জন্য বল জালে জড়াতে পারেননি নিকোলাস গঞ্জালেস। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিটেও গোল পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত ১১২তম মিনিটে ডান পায়ের শটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পান লাওতারো মার্তিনেজ। তাতেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।
এর আগে টিকিট ছাড়াই দর্শকদের মাঠে ঢোকার চেষ্টা, হার্ড রক স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খলা। ফলাফল কোপা আমেরিকার ফাইনাল শুরুর সময় তিন দফায় পিছিয়ে শুরু হয়েছে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট পরে। অবশেষে বাংলাদেশ সময় ৭:২০ মিনিটে শুরু হয় আর্জেন্টিনা বনাম কলম্বিয়া ম্যাচ।
