রাজস্থান রয়েলস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স- দুই দলের মধ্যে এই মুহুর্তে রয়েছে অনেক মিল। দুই দলই এই আইপিএল মৌসুমে এখনো পর্যন্ত খেলেছেন ১২টি করে ম্যাচ, দুই দলই জিতেছে ৫টি, হেরেছে ৭টি। দুই দলেরই পয়েন্ট ১০ এবং সবচেয়ে বড় কথা, আর মাত্র দুটি করে ম্যাচ বাকি থাকা এই দুই দলেরই এখনও বেঁচে আছে প্লে অফে খেলার আশা। বেঁচে আছে বলতে- টিমটিম করে জ্বলছে দুই দলেরই সম্ভাবনার প্রদীপ।
এই দুই দল মঙ্গলবার (আজ) মুখোমুখি হচ্ছে একে অপরের। এই ম্যাচ যে দল হেরে যাবে তাঁর একেবারে ‘বিদায়ঘন্টা’ বেজে যাবে, তা নয়। কিন্তু যে জিতে যাবে তাঁর সম্ভাবনার প্রদীপের ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যাবে কয়েকগুণ, অপর দলকে করতে হবে অনেক ‘যদি-কিন্তু-তবে’র হিসেব ও ভাগ্যদেবীর সহায়তার জন্য প্রার্থনা। কাজেই এক ম্যাচ করে হাতে থাকলেও এই ম্যাচকে ‘মাস্ট উইন’ হিসেবেই ধরা হবে দুই শিবিরেই, তা নিঃসন্দেহে।
কি করিলে কি হইবে?
যদি আজ রাজস্থান জেতে, তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমান (১২)। প্লে অফের আগে নিজেদের শেষ ম্যাচে এই দুই দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে, সেই ম্যাচে যে জিতবে সে কোন হিসেব ছাড়াই উঠে যাবে প্লে অফে। ওদিকে মুম্বাই নিজেদের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্সকে যদি হারিয়েও দেয়, তবুও তাদের ওঠা হবে না।
তবে যদি আজ মুম্বাই জিতে যায়, তাহলেই খেলা হয়ে উঠবে জমজমাট। কারণ তখন নিজেদের পরের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে জিততে তো হবেই, পাশাপাশি রোহিত-বুমরাহদের কামনা করতে হবে রাজস্থানের বিপক্ষে কলকাতার হার। যদি কলকাতা জিতে যায় তাহলেও যে মুম্বাইয়ের আশা শেষ, তা নয়। যদিও নেট রানরেটে খুব বড় ধরণের পরিবর্তন না এলে মুম্বাইয়ের বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আরো একটি দল, পাঞ্জাব কিংসও আছে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে, তবে তাদের হাতে আর একটিই ম্যাচ আছে এবং তাদের “যদি কিন্তু”র হিসেব মুম্বাই ও রাজস্থানের চেয়েও জটিল। শেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আশা করতে হবে যাতে মুম্বাই আগামী দুই ম্যাচেই হারে, কিন্তু রাজস্থান কলকাতার বিপক্ষে জিতে যায়। তাহলে নেট রানরেটে সামান্য হলেও বেঁচে থাকবে তাদের প্লে অফের আশা।