সময়ের হিসেবে ঠিক চারশো তিন দিন পর মাঠে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। চিরকাল ইনজুরির সাথে লড়ে যাওয়া ম্যাশ বিপিএলে সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচটিও খেলতে এসেছেন ইনজুরির সাথে যুদ্ধ শেষে। পুরোপুরিভাবে শেষ করতে পেরেছেন কি?
প্রথমে ব্যাট করে ঢাকার সংগ্রহ মোটে একশো, সময়ের সাথে সাথে ম্যাচ থেকে একটু একটু করে ছিটকে গেছে ঢাকা। তবে এই ম্যাচে সকলের জন্যই প্রাপ্তি বোধহয় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ফেরা। বোলিংয়ে গতি কমেছে নড়াইল এক্সপ্রেসের, শরীরটাও হয়তো আগের মতো দিচ্ছে না সঙ্গ। অফকাটারটাকেই তাই বানিয়েছেন অস্ত্র, আর তাতেই এসেছে সাফল্য। ম্যাশকে বারবার বাউন্ডারি ছাড়া করতে চাওয়া লিন্ডল সিমন্সও পরাস্ত হয়েছেন ম্যাশের ঐ অফকাটারেই।

টানা তিন ওভার বল করেছেন, কে বলবে প্রায় এক বছর পর ক্রিকেটে ম্যাশ! দলের বাকি বোলারদের যখন উইকেট পেতে হাপিত্যেস, তখন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নামক মানুষটাই আবার দলের সেরা বোলার, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। নিজের শেষ ওভারে যখন ম্যাশ বল করতে এসেছেন, সিলেটের তখন প্রয়োজন মাত্র চার রান। এনামুল হক বিজয়কে দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে পরাস্ত করে নড়াইল এক্সপ্রেস যেভাবে আউটের জন্য আবেদন করলেন তা দেখে যে কারোরই ধরে দিবানির গল্পটা মনে পড়ে যাওয়ারই কথা।
তখন মনে না পড়লেও পরের বলেই নিশ্চিতভাবেই মনে পড়েছে ভক্ত সমর্থকদের। বিজয় ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশতক পূরণ করার সাথে সাথে নিশ্চিত করতে চেয়েছেন দলের জয়। কিন্তু, ম্যাশের ঐ স্লোয়ার অফকাটারটার সামনে যে অনেক বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানও যুগে যুগে পরাস্ত হয়েছেন সেটা বোধহয় ভুলেই গিয়েছিলেন বিজয়। জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাশ যেভাবে উল্লাস করলেন, সেটাই যেনো এখন অব্দি বিপিএলে ঢাকার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মুহুর্ত হয়ে থাকল। নিশ্চিতভাবেই সকলেই চাইবে এরকম মুহুর্ত আরও অসংখ্যবার ফিরুক। ম্যাশ যে এখনও এক নস্টালজিয়ার নাম!!!