ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ হকিতে গত মৌসুমে ৩৩ গোল করেছিলেন সোহানুর রহমান সবুজ। এই মৌসুমে যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছিলেন মেরিনার্সের এই খেলোয়াড়। করেছেন ৩৯টি গোল, তারপরও প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি নিজের করে নিতে পারেননি তিনি। অক্ষত থেকেছে রফিকুল ইসলাম কামালের ২৯ বছর আগে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ৪০ গোল করার রেকর্ড।
সোহানুরের সামনে এখনো রফিকুলকে টপকানোর সুযোগ আছে। এবারের প্রিমিয়ার লিগ হকির লিগ পর্যায়ের খেলা শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু এখনো শিরোপা নির্ধারণ হয়নি। লিগ পর্যায়ের খেলা শেষে আবাহনী লিমিটেড ও মেরিনার্সের পয়েন্ট সমান।
এটি মূলত হয়েছে গতকাল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারির ঘটনার পর মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ায়। নয়তো ম্যাচে এগিয়ে ছিল মোহামেডানই, শেষ পর্যন্ত যদি খেলা হতো আর মোহামেডান লিড ধরে রাখতে পারতো তাহলে রানার আপ হয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হতো আবাহনীকে। কিন্তু মোহামেডান মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ৫-০ গোলে আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে যাই হোক না কেন, সোহানুর নিজের গোল সংখ্যাকে বাড়িয়ে নিতে সুযোগ তো পেলেন।
অথচ শিরোপা নির্ধারনী প্লে-অফ যে খেলবেন জানতেনই না সোহানুর। তাইতো গতকাল (শুক্রবার) পুলিশকে ৪-২ গোলে হারানোর পরও রেকর্ড ভাঙতে না পারায় হতাশা ঝড়েছিল তার কন্ঠে।
তিনি বলেছিলেন, “আক্ষেপ তো থাকবেই। একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলাম। আর দুটি গোল হলে রেকর্ড হতো। আগামী লিগের আগ পর্যন্ত আক্ষেপটা থেকেই যাবে। চেষ্টা করব আগামী লিগে আরও ভালো করে রেকর্ডটা ভাঙতে”
কে জানে পরের ম্যাচেই রেকর্ডটি নিজের দখলে করে নেন কিনা সোহানুর। দেখার অপেক্ষা, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে গোল করে রফিকুল ইসলামের রেকর্ড ছুঁতে বা ভাঙতে পারেন কি না তিনি।