৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার

লাঞ্চ টু রেইন; হতাশার এক ঘন্টা

- Advertisement -

আকাশে মেঘ, প্রকৃতিতে বাতাস! পেসারদের জন্য আদর্শ কন্ডিশন, সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। সেজন্যই হয়তো লাঞ্চ শেষে বল হাতে ইবাদত হোসেন, কিন্তু সুইংটা কিভাবে আদায় করে নিতে হয় সেটাই যেনো ভুলে গেছেন টাইগার পেসার। বাধ্য হয়ে এক ওভারেই ইবাদতকে থামিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল, বোলিংয়ে তাইজুলের সাথে এনেছেন মেহেদি হাসান মিরাজকে।

আজান ভেসে আসছে, কিছুটা নীরব স্টেডিয়াম। বল হাতে তাইজুল, আজহার আলীরা ততোক্ষণে বুঝে গিয়েছেন এই পিচে ভালো করতে হলে রান তুলতে হবে দ্রুতই। তাইজুলের দ্বিতীয় বলেই করলেন সুইপ এবং চার। অপরপ্রান্ত থেকে ইবাদতের বদলে বোলিংয়ে মিরাজ, প্রথম বলেই পেলেন অনেক বড় টার্ন। ব্যাট হাতে বাবর আজম অবাক, মুখে হাসি!

প্রথম সেশনে তাইজুল নিয়েছিলেন দুই উইকেট

পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান রান তুলে নিচ্ছিলেন দ্রুত গতিতেই, স্ট্যাম্পের পেছন থেকে লিটন-শান্তরা গলা ফাঁটাচ্ছেন, “রানটা আঁটকাই ভাই, রান আঁটকাই। এক করে নিক, সমস্যা নাই। রান ছাড়া আরামে আরামে কর, ভাই।”

কিছুক্ষণ পরেই জ্বলে উঠল ফ্লাডলাইটের আলো, সেই আলোতে যেনো আরও আলোকিত হয়ে উঠলেন বাবর আজম, মিরাজের বড় টার্ন করা শেষ বলটায় তুলে নিলেন চার। ওভার শেষ হতেই এগিয়ে এলেন সাকিব আল হাসান, হয়ত বোঝানোর চেষ্টা করলেন টার্নটাকে কাজে লাগাতে হয় কিভাবে। তাইজুলের ওভার শেষে বল হাতে আবারও যখন এলেন মিরাজ, আবারও এগিয়ে এলেন সাকিব। খুব ভালোমতো বোঝালেন কোথায় করা উচিত বল, ব্যাটসম্যানদের কিভাবে ফেলা যাবে চাপে। বলটা যে খারাপ করেননি মিরাজ তা তো শান্তর কথাতেই স্পষ্ট, “গুড বল, মির্চি।”

মিরাজ ভালোই করছিলেন, তাইজুলও সৃষ্টি করছিলেন চাপ। কিন্তু, হঠাৎ করেই মিরপুরে নেমে এলো বৃষ্টি। আর, তাতেই চা বিরতির বেশ কয়েক ওভার আগেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন খেলোয়াড়েরা।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img