১৯ মাস পর কোন চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে দর্শক ফিরেছে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায়। আর এই আনন্দের উপলক্ষ্যকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসাবে না বায়ার্ন মিউনিখ, তা কি হয়? ডায়নামো কিয়েভকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সমর্থকদের ‘স্বাগত’ জানিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। জোড়া গোল পেয়েছেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি। অপর গোল তিনটি করেছেন যথাক্রমে সার্জ গ্যানাব্রি, লেরয় সানে ও এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিং।
If we had to sum up tonight: ?
♦️ #FCBDYN 5-0 ♦️ pic.twitter.com/0jUcTqqVsK
— FC Bayern English (@FCBayernEN) September 29, 2021
ঘরের মাঠে কিয়েভকে কোন সুযোগই দেয়নি জুলিয়ান নাগেলস্ম্যানের বায়ার্ন। বলের দখল বা গোলমুখে নেওয়া শটের সংখ্যা- প্রতিটি ক্ষেত্রে ছিল পরিষ্কার ব্যবধান। এই বছর ঘরের মাঠে এমন কোন ম্যাচ নেই যাতে গোল করেননি লেভান্ডফস্কি, এই ম্যাচেও সেই ধারা বজায় রেখেছেন পোলিশ গোলমেশিন। ১০ মিনিটের সময় জোশুয়া কিমিখের কর্নারে ডি বক্সে হাত লাগিয়ে ফেলেন কিয়েভ মিডফিল্ডার সের্হি সিদ্রোনচুক। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লেভান্ডফস্কি; তাঁর ঠিক আগের মিনিটেই সার্জ গ্যানাব্রির ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন যিনি।
২৬ মিনিটে আবারো কাউন্টার অ্যাটাকে থমাস মুলারের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান করেন দ্বিগুণ। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সার্জ গ্যানাব্রির গোলে ব্যবধান হয় ৩-০।
তবে ম্যাচের সেরা মুহুর্তটি উপহার দেননি সম্ভবত লেভান্ডফস্কি বা গ্যানাব্রির কেউই; দিয়েছেন আরেকজন। ৭৩ মিনিট বাঁ প্রান্তের দূরূহ কোণ থেকে আচমকা শটে লেরয় সানে যে গোলটি করলেন, সেটিকে ম্যাচে বায়ার্নের সেরা গোল বলে দেওয়া যায় সহজেই। ৮৭ মিনিটে বেঞ্জামিন পাভার্ডের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে চুপো-মোতিং ঠুকে দেন কিয়েভের কফিনে পঞ্চম ও শেষ পেরেকটি। পুরো ম্যাচে নাজেহাল হওয়া ডায়নামো কিয়েভ অবশ্য তখন কোনমতে ম্যাচ শেষ করে জার্মানি থেকে বের হতে পারলেই বাঁচে।
এই জয়ে গ্রুপ ‘ই’ তে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রাখল বায়ার্ন মিউনিখ।