রাজিন সালেহ; বাংলাদেশ দলের নতুন ফিল্ডিং কোচ, নতুন পরিচয়। আফগানিস্তান এবং সাউথ আফ্রিকা সিরিজে দেখা যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ডাগআউটে। বিসিবির পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগোতে চান সাবেক এই ব্যাটসম্যান, তবে আছে নিজেস্ব পরিকল্পনাও। সেটাই জানিয়েছেন অলরাউন্ডারকে, বলেছেন দিতে চান আস্থার প্রতিদান।
“আলহামদুলিল্লাহ, জাতীয় দলের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। বিসিবির আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। এটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ, যদি নিজেকে প্রমাণ করতে পারি তাহলে হয়তো আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করতে পারব। সত্যি বলতে, জাতীয় দলের হয়ে কাজ করার স্বপ্নটা চিরকালের। আমি জাতীয় দলের সাথেই থাকতে চাই।”
জাতীয় দলের জার্সি শেষবার গায়ে জড়িয়েছেন ২০০৮ সালে, অনেক আক্ষেপকে সঙ্গী করে চার বছর আগে অশ্রু ভেজা চোখে ক্রিকেটকে জানিয়েছেন বিদায়। আড়ম্বরপূর্ণ কোনো বিদায় নয়, তাঁর জন্য সেদিন ছিল না বাড়তি কোনো আয়োজন। কিন্তু প্রকৃতি তো ঋণ রাখে না। তাই যোগ্য ব্যক্তিকেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রাপ্য সম্মান। রাজিন সালেহ আজ নিশ্চয়ই খুশিই হবেন, খুশি হওয়ারই তো দিন আজ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্যটা প্রমাণ করতে পারেননি সঠিকভাবে। তবে দেশের হয়ে ওয়ানডেতে তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রাজিন সালেহর নামটাই আসবে চিরকাল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের একজন হয়েই শেষ করেছেন ক্রিকেট ক্যারিয়ার। তৈরী করেছেন খেলোয়াড় তৈরীর কারখানা, ক্রিকেট একাডেমি। ফিল্ডার হিসেবে পুরো ক্যারিয়ারেই পেয়েছেন খ্যাতি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৪ ডিসমিসালের সাথে আছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২৮টি।

টেস্ট, ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই ব্যাটিং গড় ২৫ এর আশেপাশে। পরিসংখ্যান দেখে হয়তো এই যুগের অনেকের ভ্রু কুঁচকাবে। কিন্তু পরিসংখ্যানই কি সব? হোয়াট দে ডু নো অব ক্রিকেট হু অনলি নো স্ট্যাটিসটিকস? পরিসংখ্যানে তো লেখা নেই, তরুণ রাজিন কিভাবে সামলেছিলেন শোয়েব আখতার নামের গতিদানবের বাউন্সার। দলের প্রয়োজনে শরীরটাকে কিভাবে দিতেন এগিয়ে, কিভাবে অভিষেকেই করাচিতে পাকিস্তানের সেই বোলিং লাইনআপের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ২৯১ মিনিট!