সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি। ৩৭ বছর বয়সী বিনি ভারতের হয়ে সর্বমোট ২৩টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন; ৬টি টেস্ট, ১৪টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টিতে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পরিচিত মুখ বিনি; ২০১৩-১৪ মৌসুমে কর্ণাটকের রঞ্জি ট্রফি জয়ে রেখেছেন বড় অবদান। ৪৩.২২ গড়ে ৪৪৩ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ১৪টি উইকেটও। ১৭ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার, খেলেছেন ৯৫টি ম্যাচ। অধিকাংশই নিজ রাজ্য কর্ণাটকের হয়ে; ৪৭৯৬ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ১৪৬টি উইকেট।
বিনির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সেরা মুহুর্তটা ভারতের নীল জার্সি গায়েই এসেছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ডাক পান বিনি; দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৪ রান দিয়ে নেন টাইগারদের ৬টি উইকেট। ওয়ানডেতে ভারতের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার এটিই।
২০১৪ সালের ইংল্যান্ডের সাথে ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়ে ভারত; বিস্ময় হিসেবে দলে নেয়া হয় বিনিকে। একজন বাড়তি পেসারের সুবিধা নিতেই দলে নেয়া হয় কর্ণাটক তারকাকে। ট্রেন্ট ব্রিজে প্রথম টেস্টেই হয়ে যায় অভিষেক; ১০ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে খেলেন ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। বিনি ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন, কিন্তু মূল একাদশে সুযোগ হত কম। ২০১৫ বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন তিনি, কিন্তু একাদশে জায়গা হয়নি একটি ম্যাচেও। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন ২০১৬ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩২ রান। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি কর্ণাটক তারকার।
২০১০ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু করেন বিনি। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে রাজস্থান রয়েলসের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি, এরপর দল নিষেধাজ্ঞায় পড়লে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে পাড়ি জমান ভিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালোরে।
“আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত। আমার ক্রিকেটের জার্নিতে বিসিসিআইয়ের বিশাল ভুমিকা রয়েছে, বছরের পর বছর তাদের সমর্থন এবং বিশ্বাস অমূল্য। আমার ক্যারিয়ারটাই গড়ে উঠতনা যদি না কর্ণাটক এবং বিসিসিআইয়ের সমর্থন থাকত। আমি সকল কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে উৎসাহিত করেছেন। নির্বাচকদের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আমার পরিবার ছাড়া কিছুই সম্ভব হত না, আমি প্রতিদিন তাদের কথা ভেবে মাঠে নামতাম”- এক বিবৃতিতে বলছিলেন বিনি
ক্রিকেট বিনিকে সর্বস্ব দিয়েছে, তাই ক্রিকেটের সাথেই থেকে যেতে চান তিনি। নিজের দেয়া বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়েছেন কর্ণাটক তারকা।
“ক্রিকেট আমার রক্তে মিশে রয়েছে এবং আমি সবসময় সেই খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করব যা আমাকে সবকিছু দিয়েছে”- বলছিলেন বিনি