অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে বের হলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর অজিদের জয় ৩ উইকেটে। তবে এই ম্যাচ জিততেও ঘাম ঝড়াতে হয়েছে অজিদের। মাত্র ১০৫ রানের লক্ষ্য অজিরা তাড়া করেছে ছয় বল হাতে রেখে।
১০৫ রানের ছোট লক্ষ্য, সেই ছোট লক্ষ্যে ম্যাচ জিততে চাই দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া। প্রথম ওভারে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়ে সেই আশার বানীই শুনিয়েছিলেন শেখ মাহেদি হাসান। তবে তা টিকে ছিল তিন ওভার পর্যন্ত। চতুর্থ ওভারে সাকিবের এক ওভার থেকে ড্যান ক্রিশ্চিয়ান নেন ৩০ রান, মূলত ওখানেই হেরে বসে বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।
৩ ওভারে ১৫ থেকে ৪ ওভারে ৪৫ রান। পঞ্চম ওভারে ওপেনার বেন ম্যাকডারমটকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান নাসুম আহমেদ, পরের ওভারে মঞ্চে মুস্তাফিজুর রহমান। শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানিয়ে ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে যখন ফেরালেন মুস্তাফিজ, সবচেয়ে স্বস্তির হাসিটা হয়তো সাকিবই হেসেছিলেন। অষ্টম ওভারে দৃশ্যপটে সাকিব আল হাসান, তার রানআউটে প্যাভিলিয়নে মইজেস হেনরিকস।
দশম ওভারে অ্যালেক্স ক্যারিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরালেন মুস্তাফিজ। পরের ওভারে শেখ মাহেদির শিকার মিচেল মার্শ-অজিদের রান তখন ৬ উইকেটে ৬৫। বাংলাদেশের সাফল্য বলতে ঐটুকু। এরপর যত সময় গড়িয়েছে বাংলাদেশের ব্যর্থতাই ফুটে উঠেছে, অনেক চেষ্টার পরও উইকেট তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। পুরো সিরিজের মতো এ ম্যাচেও ব্যর্থ সৌম্য সরকার, ফিরেছেন ১০ বলে ৮ রান করে। সাকিব এদিন ছিলেন বোলিংয়ের মতোই নখদন্তহীন। মোটে ১৫ রান করেছেন, বল খেলেছেন ২৬টি। দলীয় সর্বোচ্চ ২৮ এসেছে নাইম শেখের ব্যাট থেকে, তিনিও বল খেলেছেন রানের চেয়ে ঢের বেশি। ২ চারে ৩৬ বলে ২৮ করেছেন নাইম।
অজিরা জয় পেতে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। সেই দুজনই মূলত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন। এই সিরিজে প্রথমবার মাঠে নামা মিচেল সুইপসন ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর অ্যান্ড্রু টাইও নিয়েছেন তিন উইকেট, তবে রান দিয়েছেন ১৮। বাংলাদেশের রান একসময় ১০০ পেরোবে কিনা এটা নিয়েই ছিল যত সন্দেহ, তবে সেই সন্দেহ দূর করেছেন শেখ মাহেদি হাসান। ৮ নম্বরে নেমে ১টি করে ছয়-চারে তার ১৬ বলে ২৩ রানে কোনোমতে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ।