ডালাসে গ্রুপ ডি এর ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অল্পের জন্য রক্ষা পেল বাংলাদেশ। মাত্র ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেও একের পর এক উইকেট খুইয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত মান বেঁচেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের, ৬ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
১২৫ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেও ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। পরপর দুই ওভারেই দুই ওপেনার সৌম্য সরকার (০) এবং তানজিদ হাসান তামিম (৩) ফিরে গেলে বড়সর ধাক্কা খায় টাইগার শিবির। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও ১৩ বলে ৭ রান করে আউট হলে পাওয়ারপ্লে শেষে বাংলাদেশ তোলে ৩ উইকেটে ৩৪ রান।
এরপর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। শুরুতে ধীরেসুস্থে ব্যাট করলেও ১২তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে পরপর তিনটি ছক্কা মারেন হৃদয়। যদিও এরপরের বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে রিভিউয়ে আউট হন ২০ বলে ৪০ রান করে, এর আগে ২০০ স্ট্রাইক রেটে মারেন ১ চার এবং ৪ ছক্কা। লিটন কুমার দাশ ৩৮ বলে করেছেন ৩৬ রান। সাকিব আল হাসান করেছেন ১৪ বলে ৮ রান। ১১৩ রানে ৮ উইকেট পড়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ এবং তানজিম হাসান সাকিব ৪ বলে অপরাজিত ১ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছে। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন নুয়ান তুষারা। এছাড়াও, ২টি উইকেট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের ওপর বেশ চড়াও হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস। পাওয়ারপ্লে শেষে ২ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ৫৩ রান। পাথুম ২৮ বলে ৭ চার এবং ১ ছক্কায় ১৬৭.৮৫ স্ট্রাইক রেটে করেন ৪৭ রান। দলীয় ৭০ রানে লঙ্কানরা হারায় ৩ উইকেট। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ৩০ রানের জুটি গড়লেও ১৫তম ওভারের প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। এই লেগস্পিনার ফিরিয়ে দেন চারিথ আসালাঙ্কা (১৯) এবং প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে (০)। ১০০ রানে ৫ উইকেট পরার পর ঘুরে যায় ম্যাচের গতিপথ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা তোলে ১২৪ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে রিশাদ একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়াও, মুস্তাফিজও ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট।