বুধবার থেকে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে শুরু হবে লাল বলের লড়াই। টাইগারদের জন্য ভাল খবর দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। সামান্য সুযোগে যতটুকু ঝালিয়ে নেয়া যায়, ততোই ভালো। হারারের উইকেট না জানলেও পরিসংখ্যান হয়তো ঠিকই জানে টাইগাররা।
হারারের স্পোর্টস ক্লাবে সেরা দশ বোলারের কেউই নেই বর্তমান আর্তর্জাতিক ক্রিকেটে। যার প্রথম পাঁচ জনের সবাই জিম্বাবুইয়ান। সবার উপরে টাইগারদের সাবেক পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক।
সেরা দশের তালিকার সবার নীচে বাংলাদেশের রবিউল ইসলামের নাম। বাকি চার জনের দুজনই লংকান। যার মধ্যে একজন টাইগারদের বর্তমান স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
পরিসংখ্যান দেখে এটা পরিস্কার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে পেসাররাই সবচেয়ে সফল। কিন্তু বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা স্পিনারদের নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মন্ত্র রয়েছে নিজেদের ঘরেই।
নতুন স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের এই মাঠে রয়েছে বেশ উজ্জ্বল পারফর্ম্যান্স। মাত্র চার ইনিংসে উনিশ উইকেট নিয়ে লংকান এই স্পিনার ঢুকে গেছেন হারারেতে সেরা দশ বোলারের লিস্টে। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ নিয়েছেন আট উইকেট।
বর্তমান স্পিন গুরু রঙ্গনা হেরাথের হারারেতে এমন পারফর্ম্যান্স নাঈম, তাইজুল, মিরাজদের আলাদা অনুপ্রেরণার জায়গা তৈরী হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। হেরাথের সাথে সফরে রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক বাহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকও। যার নিজেরও রয়েছে এ মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা।
হারারের অতীত ইতিহাসের মতোই আট বছর আগে বাংলাদেশের শেষ জিম্বাবুয়ে সফরেও পেসাররা ছিলেন উজ্জ্বল। সেরা পাঁচ বোলারের মধ্যে সবার উপরে থাকা টাইগার পেসার রবিউল ইসলাম ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন হারারেতেই। বাকী চারজনের দুইজনও ছিলেন পেসার।
টেস্টে অভিজ্ঞ বাংলাদেশ দলে এ সফরে সিনিয়র কয়েকজন ছাড়া অনেকেই ছিলেন না ৮ বছর আগের দলে। অভিজ্ঞতা আর তরুণ দল নিয়ে এবারের জিম্বাবুয়ের সফরে চাপ টা যে একেবারই কম না সেটা মাথায় নিয়েই হয়তো মাঠে নামবে বাংলাদেশ।