ম্যাচ ছিল হাতের মুঠোতেই, তবে সাত নম্বরে নামা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা জমিয়ে দিয়েছিল খেলা। বাংলাদেশ দলেও পড়েছিল চিন্তার ভাঁজ, ইনজুরি নিয়েও মুস্তাফিজুর রহমানের ফেরাই বলে দেয় ম্যাচ পরিস্থিতি কতোটা জটিল ছিল। তবুও জিতল বাংলাদেশ। হাসারাঙ্গার জন্য জয়টা কাছে তবুও ছিল দূরে। সকালে কোভিড হারিয়ে রাতে বাংলাদেশের জয়। ব্যবধান ৩৩ রান।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শট বলে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে হাসারাঙ্গা যখন ফিরছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজের শান্তনায় তখন আর কী আসে যায়! তবুও দ্য জেন্টেলসম্যান গেম বলে কথা, তবে ম্যাচ জেতাতে না পারার আক্ষেপ ছিল হাসারাঙ্গার চোখে-মুখে। হাসারাঙ্গার আগে পুরো গল্পটাই ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। তার দশ ওভারের স্পেলে চার উইকেট। ১০২ রান তুলতেই শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল ৬ উইকেট।
দিনের শুরুতে টস জিতেই শুরু হয়েছিল তবে লিটনের শূন্যতে বিদায়ে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ দল। সাকিব আল হাসান তিনে ফিরেছেন, তবে চাপ সামাল দেওয়ার জন্য যা করা দরকার সেটা করতে পারেননি, উল্টো নিজের চাপ বাড়িয়ে কুড়ি রানের আগেই ফিরেছেন। তবে তামিম ইকবালের পর মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর আফিফের ছোট্ট ক্যামিওতে পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৫৭।
মিরপুরের ২ নম্বর উইকেটে ব্যাট করা যে কতোটা জটিল সেটা লঙ্কানদের বোঝা যাচ্ছিল। মিরাজ বল থেকে সুবিধা পাচ্ছিলেন, পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন দুর্দান্ত, বাংলাদেশ খেলেছে দল হয়েই, জয়টাও তাই গোটা দলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ দল: ২৫৭/৬ (তামিম ইকবাল ৫২, লিটন ০, সাকিব ১৫, মুশফিক ৮৪, মিঠুন ০, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আফিফ ২৭*, সাইফউদ্দিন ১৩*, ধনাঞ্জয়া ১০-২-৪৫-৩)
শ্রীলঙ্কা: ২২৪ (৪৮.১ ওভার) (হাসারাঙ্গা ৭৪, পেরেরা ৩০, মিরাজ ১০-২-৩০-৪, মুস্তাফিজ ৯-০-৩৪-৩, সাইফ ১০-০-৪৯-২, সাকিব ১০-০-৪৪-১, তাসকিন ৯-০-৬২-০, মাহমুদউল্লাহ ০.১-০-১-০)।