জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৩৯ রানের টার্গেটে ওয়ানডে মেজাজে খেলেই শুরু করে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাস । আগের ম্যাচের হিরো তামিম এদিন শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি । ১৯ বলে ১৮ রান করেই ফেরেন সাজঘরে ।
সিকান্দার রাজার বলে ২১ রানে জীবন পাওয়া লিটন ফেরেন ২৩ করে। প্রথম দশ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬২ রান, স্কোরবোর্ডে নেই ৩ উইকেট । এর মধ্যেই চট্রগ্রামের জহুর আহমেদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টি হানা দেয় তিন বার। বৃষ্টি আইনে টাইগাররা তখন জিম্বাবুয়ে থেকে পিছিয়ে ছিলো ৩ রানে । তবে বেশি সময় এ বিরতি স্থায়ী হয়নি ।
শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪৯ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। প্রথম ম্যাচের মতো ২৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করেন হৃদয় আর রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৬ করে। বাংলাদেশ জয় পায় ৯ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকে। দুই ওপেনার মারুমানি এবং জয়লর্ড গাম্বি মিলে ২৫ বলে তোলেন ১৫ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ২২ রান। ১২ ওভার পর্যন্ত গা বাঁচানো ব্যাটিংই করেছে জিম্বাবিয়ানরা। ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৫৪ রান।
এরপরই জিম্বাবুয়ের দৃশ্যপট বদলে দেন রায়ান বেনেট এবং জোনাথন ক্যাম্পবেল। দুজন মিলে গড়েন ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি। ক্যাম্পবেল করেন ২৪ বলে ৪৫, বেনেট ২৯ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ে নিয়েছে ১৮ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মাহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং শরীফুল ইসলাম।