৭৪ বছরের অপেক্ষা, তারপর সেই অপেক্ষার অবসান। ব্রেন্টফোর্ড নাম লিখিয়েছে ইপিএলে। শনিবার চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ ফাইনালে সোয়ানসি সিটিকে হারিয়েছে পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটি,তাতেই নিশ্চিত হয়েছে সামনের মৌসুমের ইংলিশ লিগে খেলার টিকেট। সোয়ানসির ক্লাবটির বিপক্ষে ব্রেন্টফোর্ডের জয় ২-০ গোলে।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষবার যখন জিতেছিল ব্রেন্টফোর্ড, পৃথিবী তখন বড্ড অশান্ত। বেজেজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা । সেটাও আট দশক আগের কথা, ৭৯ বছর বাদে আবারো ওয়েম্বলিতে জিতেছে তারা। যে জয় হয়তো বাঁধিয়ে রাখা হবে ছবির ফ্রেমে। ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ম্যাচ জয়ের আগে সবশেষ তারা এখানে খেলেছিল ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে।এর আগে ব্রেন্টফোর্ড প্লে-অফ ফাইনাল খেলেছে পাঁচবার, জিততে পারেনি একবারও। যার ফলে প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্ন থেকে যায় অধরা। ফাইনাল ম্যাচ আর হার যেন ব্রেন্টফোর্ডের সমার্থক। এর আগে সাত-সাতবার ফাইনাল খেলেছে, জয় ধরা দেয়নি একবারও। এবার এসেছে সেই জয়। সাতবার নিস্ফল চেষ্টার পর অধরা জয় ধরা দিয়েছে, ইপিএলের স্বপ্ন হাঁটি-হাঁটি পা করছে।
শেষবার যখন প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিল ব্রেন্টফোর্ড, টুর্নামেন্টের নামই তখন প্রিমিয়ার লিগ ছিল না। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে শেষবারের মতো যখন ইংল্যান্ডের পেশাদার পর্যায়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবল খেলেছিল মৌমাছিরা, তখন এর নাম ছিল প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ।
সুখ সবসময়ই আলাদা। ব্রেন্টফোর্ডের সেই দুজন বৃদ্ধ সমর্থক, ক্লাবটার সঙ্গে যাদের সম্পর্ক আত্মার। শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যেও ক্লাবটির প্রতি ভালবাসা কমেনি একবিন্দু পরিমাণ। মুলত এদের জন্যই ফুটবলের সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুন।
These two Brentford fans followed the club during their last top-flight campaign – the 1946-47 season.
Today, they watched from the stands at Wembley as the Bees won promotion to the Premier League ❤? pic.twitter.com/CHasFja3c2
— Goal (@goal) May 29, 2021
ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের ঘরের মাঠ এনফিল্ডের মূল ফটকে বড় করে লেখা ,’ ইউ উইল নেভার ওয়াক এলোন’ । ত্রিশ বছর পর গত মৌসুমে শিরোপা ঘরে তুলেছিল লিভারপুল, যে ত্রিশ বছরে একবারের জন্যও ক্লাবকে ছেড়ে যায়নি এর আকুন্ঠ সমর্থকেরা। সাত দশকেরও বেশি সময় পরে প্রিমিয়ার লিগে ফেরা ব্রেন্টফোর্ডও যে এই দীর্ঘপথে একা হাটেনি এটা নিশ্চিত। তাদের জয় যতটা না খেলোয়াড়দের তার থেকেও বেশি সমর্থকদের।